Pages

করোনা ভাইরাস বিশ্বকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

করোনা ভাইরাস, যার বৈজ্ঞানিক নাম কোভিড-১৯, একটি মহামারীতে রূপ নিয়েছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্বের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এই চার মাসে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে ১৫৬টি দেশে। আক্রান্তের খবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০১ জন (১৬ মার্চ পর্যন্ত)। মৃতের সংখ্যা বলা হচ্ছে ৬ হাজার ৬৮ জন। এ সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছেই।

একটি মরণঘাতী ভাইরাস যখন ১৫৬ দেশে ছড়িয়ে যায়, তখন কত বড় বিপর্যয় যে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এ মুহূর্তের বিশ্বের দিকে যদি তাকাই, তা হলে মহাবিপর্যয়টা আমরা উপলব্ধি করতে পারব কিছুটা হলেও। যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র এখন ইউরোপ তথা এশিয়া থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। ইউরোপ থেকে কোনো বিমান যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারছে না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যত্র বেরিয়ে যাওয়ার পথও রুদ্ধ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা এই মহামারীর ব্যাপারে খুব যে একটা কড়াকড়ি ব্যবস্থা আরোপ করতে পেরেছি, তা মনে হয় না। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা প্রতিদিনই প্রেস ব্রিফিং করছেন। আপডেট জানাচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে এক ধরনের সচেতনতা বেড়েছে, সন্দেহ নেই তাতে।

কিন্তু হোম ‘কোয়ারেনটিন’-এর কথা তিনি মুখে বলছেন বটে, কিন্তু এটা কার্যকরী হচ্ছে কিনা তা দেখার কেউ নেই। এক ধরনের শৈথিল্য রয়েছে, যারা হুকুম পালন করার কথা, তাদের উপলব্ধিতে বিষয়টি নেই। করোনা ভাইরাসের ক্ষতির ঝুঁকি যে কত, তা তারা বোঝেন বলে মনে হয় না। আমরা হোম কোয়ারেনটিনের কথা বলছি বটে, কিন্তু দেখা গেল কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও জামালপুরে যারা সদ্য বিদেশ থেকে ফিরেছেন, তারা যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসব করছেন।

নিত্যদিন স্থানীয় বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশছেন। এটা করে তারা যে কত বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করছেন, তা তারা নিজেরা বুঝছেন না, কেউ তাদের বোঝাচ্ছেনও না। যারা ইতালি থেকে এসেছেন, তাদের একটা অংশকে ‘কোয়ারেনটিন’-এ রাখা হচ্ছে, এটা সত্য। কিন্তু একটা অংশ তো বাড়িতে চলে গেছেন। তাদের মনিটর করছে কে? শুধু প্রেস ব্রিফিং করে কী এ রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে? চীনের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর আমরা পাচ্ছি ইতালি থেকে। তা এখন ছড়িয়ে গেছে স্পেনে। অথচ এই ইতালি থেকেই বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে আসছেন।

আমরা ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে আসা সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছি বটে, কিন্তু কিছুটা দেরি হয়ে গেছে। সরকার গণজমায়েতকে নিরুৎসাহিত করছে। এ ক্ষেত্রে গণযাতায়াত ব্যবস্থায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা জরুরি। প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণের মুভমেন্টে বিধিনিষেধ আরোপ করা উচিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে অনেক শিক্ষার্থীর জমায়েত হয়, সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম আপতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

করোনা ভাইরাস বদলে দিয়েছে আমাদের নিত্যদিনের পরিবেশ। বিদেশে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিতি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে, মানুষ এখন বাসাবাড়িতে থেকে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের ‘ওয়ার্ক কালচার’ শুরু হয়েছে। এতে প্রচুর মানুষের এক সঙ্গে উপস্থিতি কমানো যায় এবং তাতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস করা যায়। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আমরাও এ দিকটার দিকে নজর দিতে পারি।

অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে এ পদ্ধতির সম্ভাবনা যাচাই করে দেখা যেতে পারে। দেশে বসে বিদেশি ডিগ্রি অর্জন করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে, আমাদের জন্যও এটা একটা সুযোগ।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ কিছু বিষয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, করোনা ভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি বড় প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমরা এর প্রভাবটা হয়তো তেমন একটা উপলব্ধি করতে পারব না, কিন্তু পাঁচ-ছয় মাস পর অর্থনৈতিক বিপর্যয়টা ক্রমান্বয়েই স্পষ্ট হবে। ব্লুমবার্গের মতে, বিশ্ব অর্থনীতি ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। সংস্থাটির মতে, চলতি বছরের প্রথম কোয়ার্টারে বিশ্ব জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাবে ১ দশমিক ২ শতাংশে।

ব্লুমবার্গের গবেষণায় দেখা গেছে, যেহেতু সারাবিশ্ব চীনের পণ্য, কাঁচামাল আর প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল, সেহেতু চীনের অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দেওয়ায় চীনের সরবরাহে ঘাটতি সৃষ্টি হবে। এতে চীনের ওপর নির্ভরশীল প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে। স্পেন ও জার্মানিতে মাইনাস শূন্য দশমিক ১, কানাডায় মাইনাস শূন্য দশমিক ১, জাপানে মাইনাস শূন্য দশমিক ১, দক্ষিণ কোরিয়া মাইনাস শূন্য দশমিক ৩, ইন্দোনেশিয়ার মাইনাস শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তা হলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। পাঠকদের একটু পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চাই। ২০০৩ সালের SARS (Severe Acute Respiratory Syndrome) ভাইরাসের কারণে চীনের প্রবৃদ্ধি শতকরা ১ ভাগ কমে গিয়েছিল, যার কারণে বিশ্বের অর্থনীতিতে ক্ষতি হয়েছিল ৪০ মিলিয়ন ডলার। ঝঅজঝ-এর উৎপত্তি চীনে। ওই সময় চীনের অর্থনীতি ছিল বিশ্ব জিডিপির ৪ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে এর পরিমাণ ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। করোনা ভাইরাসের আগে চীনের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৬ শতাংশ।

কিন্তু নিশ্চিত করেই বলা যায়, এই প্রবৃদ্ধির হার এখন অনেক কমে যাবে, ৫ শতাংশেরও নিচে নেমে যেতে পারে। ফলে অবধারিতভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। বিশ্ব ধীরে ধীরে এক বড় ধরনের মন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ মন্দা থেকে কীভাবে উত্তরণ সম্ভব, সে ব্যাপারে শঙ্কিত সবাই। একটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, চীনে এখন আর করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় না। চীন এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে বলেই মনে হয়। চীন এখন তার বিশেষজ্ঞদের ইতালি পাঠিয়েছে।

অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আক্রান্ত হয়েছে, আমাদের একটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে আমরা সেভাবে আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে অনেকগুলো। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার ইউরোপে। পোশাক খাতের ৬৫ শতাংশ রপ্তানি হয় ইউরোপে। কিন্তু সেখানে মানুষ গৃহবন্দি হওয়ায় তৈরি পোশাকের কোনো চাহিদা নেই। ফলে আরএমজির অর্ডার বাতিল হচ্ছে। কারখানা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তৈরি পোশাক কারখানাগুলোয় শ্রমিক ছাঁটাই হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। অভ্যন্তরীণভাবে অসন্তোষ বাড়তে পারে। দ্বিতীয়ত, বিশ্বব্যাংক বলছে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ঋণ পরিস্থিতি কঠিন হবে। অনেক দেশের পক্ষেই নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশ এ থেকে বাইরে নয়।

তৃতীয়ত, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশ ছেড়ে বিনিয়োগ চলে যাবে অন্য দেশে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। উপরন্তু চীন বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগকারী। চীনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শ্লথগতি আসতে পারে। অনেকগুলো খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যার মাঝে একটি হচ্ছে পর্যটন। এ খাতে বাংলাদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। চতুর্থত, করোনা ভাইরাসের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে অসাধু ব্যবসায়ীরা ঋণখেলাপি হবে। এমনিতেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধ না করার কালচার বাংলাদেশে রয়েছে। এখন অসাধু ব্যবসায়ীরা করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে ঋণখেলাপি হবে! ফলে ব্যাংক খাতে ঝুঁকি আরও বাড়বে। ফলে করণীয় কী? প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘নিরাপত্তা কাউন্সিল’-এর কার্যক্রম দৃশ্যমান করা। সেখানে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে, যারা কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন। স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করা জরুরি। এখানে সরকারি বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এ খাতের দুর্নীতি বহুল আলোচিত।

কিন্তু খুব কম ক্ষেত্রেই দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ফলে একটি অন্যায় আরেকটি অন্যায়ের জন্ম দিয়েছে। সরকার এ খাতে যে অর্থ বরাদ্দ করছে, তার সুষ্ঠু ব্যবহার হচ্ছে না। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় করা অত্যাধুনিক মেশিন বছরের পর বছর বাক্সবন্দি থাকছে কিংবা নষ্ট হয়ে গেছে-এ খবর প্রায়ই ছাপা হয়। কিন্তু এর সঙ্গে যারা জড়িত, তারা অতি ক্ষমতাধর হওয়ায় আমরা তাদের শাস্তি দিতে পারিনি। সুতরাং স্বাস্থ্য খাতে অর্থের পরিমাণ বাড়ালেই চলবে না, সেই সঙ্গে এ খাতে দুর্নীতি যাতে না হয়, সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে। আইইডিসিআরের মতো (যেখানে একমাত্র করোনা ভাইরাসের ওপর গবেষণা ও চিকিৎসা সম্ভব) আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিভাগীয় শহরগুলোয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেখানে দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে ও নিয়োগ দিতে হবে। মেডিক্যাল কলেজগুলোয় ‘ভাইরোলজি’ বিভাগটি এক রকম উপেক্ষিত বলেই মনে হয়। সারাবিশ্বই ভাইরাসজনিত রোগ নিয়ে উৎকণ্ঠিত।

২০০১ সালে অ্যানথ্রাকস, ২০০২ সালের ওয়েস্ট নীল ভাইরাস, ২০০৩ সালে সার্স, ২০০৫ সালে বার্ড ফ্লু, ২০০৬ সালে ইকোলি, ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু, ২০১৪ সালে ইবোলা, ২০১৬ সালে জিকা ভাইরাস আর ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের মহামারী আমাদের জানান দিয়ে গেল আমরা কী ধরনের নিরাপত্তাঝুঁকিতে রয়েছি! এই নিরাপত্তাঝুঁকি পারমাণবিক যুদ্ধের ভয়াবহতার চেয়েও বেশি। সুতরাং আমাদের নীতিনির্ধারকরা যদি বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেন, আমাদের স্বস্তির জায়গাটা সেখানেই।

আইএমএফ এরই মাঝে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের সহযোগিতা ঘোষণা করেছে। আমরা কীভাবে এই সহযোগিতা নিতে পারি, তা ভেবে দেখতে হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, চীন কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) চিকিৎসায় বিশ্বের সব দেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। চীনের দক্ষতা প্রমাণিত। আমরা এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারি। চীনা বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে এনে আমাদের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, অথবা বিশেষজ্ঞ তরুণ চিকিৎসকদের চীনে পাঠানো যায়। করোনা ভাইরাসের ঘটনা আমাদের জন্য একটা ‘ওয়েক-আপ’ কল। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

Happy Mothers Day

একটা মেয়ে যখন মা হতে চলে ঠিক সাথে সাথে একটা ছেলে ও বাবা হতে যায় ! 

মা হতে সে সন্তান কে ধারন করে । এক দুই দিন না ! নয় মাস ! প্রতিটা সেকেন্ড ! একটা ছেলে কে বাবা বানায় । সব কস্ট সে একা বহন করে নিজে মা হয় এবং একটা ছেলেকে বাবা রুপ দেয় ।

একটা মানুষ থেকে একটা মানুষ তৈরী হওয়া এর মতো সুন্দর সুখকর আর রহমত এর জিনিস আর কিছুই হতে পারে না !  কতো বড় একটা কাজ !! যার জন্যে আল্লাহ মেয়েদের কেই বেছে নিয়েছেন ! সেই রহমত যখন আপনার উপর বর্ষিত হয় ! তখন সেই রহমত কে উপভোগ করুন ! প্রতিতা সেকেন্ড । আর রহমত এর মাধ্যম টি কে যত্ন করুন ! 

প্রতিটা সেকেন্ড শারীরিক পরিবর্তন এর সাথে মানসিক পরিবর্তন ও হয় খুব দ্রুত !  শরীর এর কস্ট সহ্য করা যায় মনের কস্ট যায় না ! 

হুট করে মন খারাপ লাগা ! হুট করে কান্না পাওয়া । হুট করে গভীর রাতে নির্দিষ্ট জিনিস খেতে চাওয়া ! সারারাত জেগে থাকা ! উঠতে কস্ট , হাটতে কস্ট , বসতে কস্ট ! আহা ! সন্তান ধারন এর জন্যে শুধু সে কস্ট করছে ! আপনি হয়তো জানেন ই না ! তার ভেতরের কতোটা ওলোট পালোট হয়ে যাচ্ছে ! একটা মানুষ একটা রক্ত বিন্দু  থেকে তৈরী হচ্ছে ! যার শরীরে আপনার রক্ত ! 

খুব সহ্য ক্ষমতা থাকে বলে ! আমাদের দেশে মেয়েদের এই সময়টাকে খুব স্বাভাবিক হিসেবে নেওয়া হয় । অথচ এইটা এমন ঝুঁকি পুর্ন শারীরিক অবস্থা যে মৃত্যু ঝুঁকি ও থাকে । মা বাচ্চা দুইজন এর ই ! মরন ভয় জেনে ও একটা মেয়ে সব কস্ট সহ্য করে ! 

তাই খুবই স্পর্শকাতর আর এই বিশেষ এই সময় এর প্রতিটা মেয়ের মানসিক অবস্হা ও শরীর এর মতো নরম হয়ে যায় । স্পেশাল এই সময় এ হওয়া উচিত না সব স্পেশাল ? আদর , যত্ন , ভালোবাসা ? 

আপনার ভ্রুন ধারন করছে যেই মেয়েটি সে অবশ্যই স্পেশাল ! যে এই দায়ীত্ব নিয়েছে যে সে আপনাদের দুইজন এর একটা পরিপূর্ন একটা রুপ কে দুনিয়ায় আনার সে অবশ্যই স্পেশাল ! যে একা দুইজন এর জন্যে কস্ট করছে সে অন্যের জন্যে জানি না আপনার সন্তান এর মা হিসেবে স্পেশাল ! আল্লাহ তাকেই বেছে নিয়েছেন আপনার সন্তান দুনিয়ায় আনার জন্যে ! অবশ্যই সে স্পেশাল । 

একটা ছেলে কতো টুকু পারফেক্ট তা বুঝতে বা বোঝা যায় একটা মেয়ের এই বিশেষ সময় পাশে থাকা দিয়ে । একটা ছেলে কে আল্লাহ একটা বিশেষ সুযোগ করে দেন আল্লাহ যাতে সে তার ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে ! 

যে সেই সুযোগ নেয় না সে আল্লাহর রহমত থেকে নিজেকে বন্চিত  করে । অবহেলা করে ! 

এই সময় টাতে নিজের সব ভালোবাসা প্রকাশ করার সময় ! যতো অভিমান সেটা দুর করার সময় !সব রকম অভিযোগ গুলো দুর করার সময় ! কেনো সেই জিনিস টা লুফে নিবেন না ?

এই অনুভুতি টুকু হয়তো আপনি কখোনোই নিতে পারবেন না ! 

আপনাকে এই অনুভুতি কে মাথায় তুলে রাখার জন্যে দিয়েছে!  তাই কোনওভাবেই মিস করবেন না ! একটা সুস্হ সন্তান পেতে একজন সুস্হ মা লাগে ।যার পেট কেটে কুটে আপনি আপনার সন্তান টা পাচ্ছেন !  সেই মানুষ টা কে কতো আদরে রাখতে হবে ! 

যারা করেন না তারা হয়তো না বুঝে করেন না ! না জেনে ! একটা মেয়েকে আদর করার যে অধিকার সেটা স্বর্গীয় ! তার দায়ীত্ব নেওয়ার যে আনন্দ সেটা সুখের ! তার সন্তান এর বাবা হওয়া টা হলো পরিপুর্নতা ! আর এই সময় তার পাশে থাকা টা হলো ভাগ্যের ! তাই খুব অল্প এই আনন্দের সময় টা কে একদম লুফে নিন ! এক সেকেন্ড ও নস্ট  হতে দিবেন না ! সুযোগ ছারবেন না ! 

আপনি বাবা ! আপনি স্বামী ! আপনার আদর টা সবার চাইতে আলাদা ! আপনি সবার চাইতে বেশী!

বউ সে তো সব সময় আদরের । আপনার জন্যে মেয়েটি সবচাইতে আদরের আপনার কাছে ! আপনাদের এই সুন্দর সময় এ আপনি তার পাশে থাকুন ! ছায়া হয়ে , উষ্ণতা হয়ে , আরাম হয়ে , আদর হয়ে ! 

তার এই অসম্ভব কস্টের সময় তাকে বুঝিয়ে দিন সে কতো টা স্পেশাল । তার কস্টের জন্যে তার কাছে বার বার ধন্যবাদ দিন , সরি বলুন , তার মাতৃত্বকালীন সুন্দর্যের প্রশংসা করুন । 

স্বামী হিসেবে আপনি কতোটা চমৎকার সেটা প্রকাশ করার এই টাই সময়!!! 

ভালো থাকুক সকল মায়েরা ।। মা দিবসের শুভেচ্ছা 

YouTube Videos Download and Convert Online

There is no doubt that youtube is the most popular video sharing site, sometimes we need to download some important videos from this site through a third party software like youtube downloader, but everybody we knows how many problems we have to face when downloading a required video, there is another great concern that the downloader can be fake by a hacker and it can be harmful for your desktop or laptop, so it would better if we could download it directly through our browser without any downloader, now i will inform you about a website which is giving you the opportunities to download videos from website without downloader, first open the video and copy the url address from your browser address bar, then paste it to en.savefrom.net, after clicking download the website will find out your videos from link the you paste and shows information of videos under its, your download is ready now click download, your download will start in a moments, inform me by commenting if the url link is not working and don't hesitate to contact with me for any kind of problem, here is a screenshot given below for your downloading more easier than you think, en.savefrom.net supports different type of file format and a lot of site to download like :

Windows Run Commands Details and Create

1. dxdiag = DirectX Diagnostic Tool (Computer Configuration)
2. msconfig = System Configuration Utility
3. gpedit.msc = Group Policy Editor
4. regedit = Registry Editor
5. cmd = Command Prompt
6. chkdsk = Disk Check
7. recent = Recent History
8. temp = Temporary Files
9. %temp% = Temporary Files
10. calc = Calculator

HTTP Errors and Success Details on the Web

While we surfing on the internet and browsing websites, sometimes we saw some HTTP bad errors like 404 Not Found (one of the most popular bad errors in the internet), we don't know why this bad errors came and shown instead of certain websites which we are looking for, here i described a complete list of HTTP bad errors, this will help you to find out the problems of that website.

HTTP : Hyper Text Transfer Protocol

HTTPs : Hyper Text Transfer Protocol Secure (Over Secure Connection)

1. 1xx Informational : Starting with 1code means request is accepted and processing
2. 101 Switiching Protocols : Person requests to server for protocol switch and server response this
3. 102 Processing  (webDAV) (RFC 2518) : Server is accepted request and in progress but no response

Google Doodles Fun and Play While Searching

Hey guys, are you a little bit bored with the Google Search Engines while searching something on the web? Then have a look on the mirror of Google http://elgoog.im, I think it would be a great pleasure for you, In the mirror page of google you can play a game pack-man or snakes instead of Google Doodle, can play a guttier, animated underwater fish, gravity feelings, google terminal and many more. Some screenshots for you

Google Search Tips and Tricks Easier Method

1. To know weather forecast of USA search like this : weather forecast usa
2. To know about the movie titanic search like this : movie: titanic
3. To know the country code of UK search like this : country code uk
4. To convert from one into another search like this : 10 meter in centimeter
5. To know the definition of something search like this : define: eartquake
6. To search certain types of file search like this : filetype:pdf bank assignment
7. To search a word exactly keep it in a quotation mark like this : "fall in love"

Send Application and Software via Bluetooth

Usually we use Bluetooth to send and receive audio, video and pictures or some multimedia files from PC and  Laptop or any other device similar to this, but we can not send any applications like software's, games, themes, notes, ms-office files and many more what we want, even sometimes can be sent some items but no way to save that file in memory card, and when we need to do this then we have to follow a lengthy process, but we can do it easily through Bluetooth if we apply little tricks in Nokia device. First open the file manager or go to the memory card and select the file which you want to transfer, now from option menu change the file name extension to .mp3 or add .mp3 after the file name, confused? Ok man, let me clear now..if your file is opera_mini.sis then rename it to opera_mini.mp3 or opera_mini.sis.mp3, now send the file easily via Bluetooth and save it in other device like other audio/video files you save after receiving from Bluetooth, but you have to save this too fast either it will shown that "file not supported", follow this : open the file and back/exit the file in a seconds when shows save option yes/no press yes to save, no need to listen or play when it open in a mp3 player, after save the file in your memory card rename the file as it was first in your other device before sending it. That's it

Expired Certificate Software's and Games Install

Sometimes when we try to install pre downloaded applications, games or themes in nokia symbian mobile, it shows an error that "expired certificate" and we cant install the software anymore. Then we have to collect or download again the software from its website or any other place. We can solve this problem by applying a little tricks. First see the properties of the software which you want to install in your device. You will find it in Option > Details > File > File Details. In file details some information of the software will show like name, type, date, time, size etc. It may vary depending on your device. However you need to know "date", whats the date? Now change your device date from control panel > settings > general > date and time. It also may vary depending on your device. Now try to install the software, not installed again "expired certificate" change the date again before or after the software's date and then install the software. After successfully install software's you may change your device date, it won't effect to work or run properly of the software. What about this tricks? leave a comment or share if you like this.

Check Anti-Virus Status Working or Not Working

Now a days, virus is the most common issue for computer and internet users, and in internet we found a lot of number of anti-virus software to save our PC from harmful viruses, but all these anti-viruses are working properly? Here another great concern to think which we cant deny at all that is, a lot of number fake anti-virus is in the Internet for free download, after installing these free anti-viruses in your computer it can be hack in a moment, the fake anti-virus start sending your valuable data to hacker or its programmer and your computer goes to the control of hacker. Have you ever think that why a person give a licensed software for free uses? Here is the fact, so friends be aware of free downloading. Now, I will show you a tricks that is your anti virus working properly in your computer or not working, so that you can take the proper decision of your computer's security. Here you are, a code is given below (in some browser's it may not shown for security reason's but can copy as usual), copy the code and paste it in a notepad, try to save the file anywhere of your computer, if you cant save the file your anti-virus is working but if you can save the file then rename it .txt to .vbs or .bat extension and open the file, if your anti-virus works properly you cant open the file, before trying to open your anti-virus will delete it, so you can damn sure about your anti-virus performances. Here is the code :

X5O!P%@AP[4\PZX54(P^)7CC)7}$EICAR-STANDARD-ANTIVIRUS-TEST-FILE!$H+H*